রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মুক্তি পাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লুৎফুজ্জামান বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী।
এদিকে বিএনপির এই জনপ্রিয় নেতার মুক্তির খবরে তার নির্বাচনী এলাকা মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরীর বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের নেতাকে বরণ করতে রাজধানীতে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে কারাগারেই রয়েছেন তিনি। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। যার মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়, একটিতে হয় যাবজ্জীবন দণ্ড।
এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় আট বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে নেত্রকোনা-৪ (মদন-খালিয়াজুরী-মোহনগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও তিনি বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী নেতাদের একজন।