একবুক অপেক্ষা তোমার জন্য



গোলাম সারোয়ার সম্রাট

বৈশাখী হাওয়ায় ভাসতে চাই অথৈ…
মাছের মত তোমার নীলাভ-সবুজ চোখে যেমন নিবদ্ধ দৃষ্টি;
অসীম ঝড়ে রাত্রী জুড়ে তুমি আস না,
বার বার ব্যর্থ হও কেন ?
কেন আমি ভাসতে পারি না, মাছ হয়ে মৎস্য কন্যার প্রতি
কী এক অনন্ত মায়ায় চেয়ে থাকি নির্মোহ…
তাই অন্তহীন রাত্রি জাগে একাকী, জাগি আমিও অনিয়ন্ত্রিত খুব আবেগী
গভীর জেগে থাকে মৃত জ্যোৎস্নারা আঁধারময়ৃআমিও-
হটাৎ মনে পড়ে অনেক দিন আগের তুমি ছিলে আমারি শুধু আমার;
ভুলে যাওয়া কবিতা সন্ধ্যা আমাদের- মনে পড়ে প্যারিস রোডে না কথা বলা অভিসার।
আসলে আমি প্রার্থিত স্বপ্নময় রাজা অথবা নিপুন প্রেমিক ছিলাম অতীতে-
হাজার যুগ আগে, তাম্র-প্রস্তর যুগের ইতিহাস জানে আমাদের দীর্ঘ প্রণয়ৃ
জগত-সংসারে ভুল বাজানো অর্গানের অনিকেত সুরের আয়োজন আমারি স্বরে দাও ঈশ্বরৃ
নষ্ট ভায়োলিনের কষ্টকর ক্ষমারা ছুড়ে দিও নির্বাক প্রশ্ন…, আমাকেইৃ
জানিনা বেঁচে থাকার, ভালোবাসার প্রবল ইচ্ছে থাকার পরেও আমাকে
বেজন্মা, ঊণ বলে উল্লাসে মেতে উঠে নিন্দুকের দল, মাতুক যারা ঘৃণিত হিসেব করে নীচ
আমি তো তোমার শরীর চাইনি, চেয়েছিলাম শুধু তোমাকে ভালোবাসতে-
সেটা ওদের সহ্য হয়নি ; ওরা তোমাকে চুরি করে নিয়ে গ্যাছে অনেক দূর।
কোন একদিন মরে যাবো, সকলি যায় অনন্তেৃ,
মৃত্যুর অনেক পর, কোন এক শেষ রাতে দেখা হলে বলবো
আমিতো শুধু তোমার বন্ধু হতে চেয়েছিলাম; কী দোষ ছিল আমার !
এই পৃথিবী যে মৃত্যু দুখ দিতে চেয়েছে, আমি তার শিকার ছিলাম অনন্য,
এর পর আমি প্রজাপতি হয়েছি অথবা ঘাস ফড়িং, ধান ক্ষেত, পাহাড়ের ধূসরতা-
আমি কবি… তবু কেন আজ কবিতা লেখছিনা।
বৈশাখী শব্দমালা নিয়ে তোমার পানে রয়েছি তাকিয়ে;
তোমার কথা ভাবছি, তোমার জন্য হাজার যুগ ধরে অপেক্ষা করছি।

অন্তরঙ্গ ভবন,
শহীদ তিতুমীর সড়ক, ঠাকুরগাঁও।
১৩-০৪-২২ খ্রি.


Check Also

কান্না-হাসির বেলা

(১) কান্না-হাসির বেলা এ কে আজাদ কৃষ্ণচূড়া রক্তে রাঙা পলাশ ফুলে আগুন, রক্তজবার হাওয়ায় উড়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published.