বগুড়া ডেস্ক : নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বীড়গ্রামে গরু চোর সন্দেহে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিুব্ধ এলাকাবাসী। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কাড়ার বিল থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে কলোড়া ইউনিয়নের বীড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়িতে পাঁচ থেকে সাতজন চোর গরু চুরি করতে যায়। গোয়াল থেকে গরু নিয়ে যাবার সময় একটি বাছুর ডাকাডাকি শুরু করে। বাছুরের ডাকে গরুর মালিক রেবো বিশ্বাসের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় তিনি বাইরে এসে গোয়ালে দুইটি গরু কম দেখতে পান। তখন চোর চোর বলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসে। এতে চোরেরা পালানোর চেষ্টা করে। গ্রামবাসী একসঙ্গে ধাওয়া করলে চোরেরা বীড়গ্রামের উত্তরপাশের বিলে নেমে পড়ে। গ্রামবাসী নড়াইল-গোবরা-ফুলতলা সড়কের উজিরপুর পল্লীবিদ্যুতের উপ-কেন্দ্রের পূর্বপাশে এক চোরকে ধরে ফেলেন। অপর চোরকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কিছুটা দূরে সরিষা ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে ধরেন। বিুব্ধ গ্রামবাসীর পিটুনিতে দুজনেরই মৃত্যু হয়। নিহত একজনের পকেটে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সে বাগেরহাটের ফকির হাটের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ। অন্যজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সে একই এলাকার বাসিন্দা হতে পারে।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরদের ধরার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়। অনেক এলাকায় পাহারা বসানো হয়। কলোড়া ইউনিয়নের বীড়গ্রামে গরু চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী চোরদের ধরে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলেছে। লাশ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।