দীর্ঘ ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাণিজ্যিক ভাবে এর কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে প্রচুর সম্ভাবনাময় বগুড়ার এই প্রকল্প। এটি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় অবস্থিত। এই বিমানবন্দরটি ২০০০ সালে চালু হবার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।
আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বগুড়া বিমান ঘাঁটির রানওয়ে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী সহ অন্যান্য এক্সপার্ট।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, বগুড়া বিমান বন্দর নিয়ে আগের সরকারকে একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি তারা। আমরা নতুন করে সরকারকে প্রস্তাব দিব। বাজেট পেলেও স্বল্প পরিসরে চালু করতেও সময় লাগবে কমপক্ষে একবছর।দেশের নবম বিমানবন্দর হিসেবে চালু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বগুড়া এয়ারপোর্ট (বিমানবন্দর)। এটি চালু করতে হলে প্রয়োজন সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট রানওয়ে, তবে আছে এখন ৪৭০০ ফুট। এখন জরুরী ভিত্তিতে ছোট বিমান নামতে পারবে। ৬ হাজার ফিট রানওয়ে করার পর ছোট আভ্যন্তরীন বিমান চলাচল করতর পারবে। আর ৮ হাজার ফিট রানওয়ে নির্মানের পর আন্তজার্তিক বিমান আসতে পারবে। যেহেতু সাড়ে ৪ হাজার ফিট রানওয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বর্ধিতের কাজ করতে হবে। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১ থেকে দেড় বছর পর চালু হতে পারে বগুড়া বিমান বন্দরটি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে অর্থ এবং কাজের উপর।এটি চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বগুড়ায় বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৮৭ সালে। কিন্তু নানা জটিলতায়সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে এখানে বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এ জন্য ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়। ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে ১০৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে বিমান আর ওড়েনি।