বগুড়া ডেস্ক : রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিরোধী মতকে দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আ স ম আব্দুর রব বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই এই আইন দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এই আইন হয়রানির হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। সুতরাং হয়রানি বন্ধে এই আইন বাতিল করতে হবে।
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডে সরকারি দলের লোকেরা জড়িত জানিয়ে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন পুলিশ ৯৭ বার পিছিয়েছে। এতে বোঝা যায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরকারি দলের লোকজন জড়িত। কক্সবাজারে মেয়ের সামনে বাবাকে হত্যা করা হয়। এই স্বাধীনতা কি আমরা চেয়েছিলাম? এই স্বাধীনতার কি কোনো অর্থ আছে? গণতন্ত্র মঞ্চ ৫০ বছর পর আবারো নতুন করে আন্দোলনের সূচনা করেছে। এটা আগের মতো হবে না। নতুন এক ইতিহাস তৈরি করবে এই আন্দোলন।’
আলোচনা সভায় গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭২ সালে একটি নতুন নির্বাচনের দরকার ছিল। ৭০ সালের গণপরিষদই ৭২ সালের গণপরিষদ হলো। ফলে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে গোড়তেই একটি স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেই পরিষদ ক্ষমতার কাঠামো আবার স্বৈরতান্ত্রিকভাবে একজনের হাত দিয়ে হয়েছে। ফলে দেশের ভালো, মন্দ একজনের ইচ্ছা, অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে মানববন্ধন হয়। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অংশ নিয়েছেন। দেশের পরিস্থিতি যে আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে এই একটি ঘটনা থেকে সেটা অনুধাবন করা যায়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার কান টানতে টানতে এত লম্বা করা হয়েছে যে এখন সেই কানই চেনা যাচ্ছে না। সংবিধানে গণতন্ত্রের অধিকারের কথা লেখা থাকলেই কি হবে, সেটা বাস্তবায়নের কথাও ভাবতে হবে। বর্তমানে সরকার দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রচার করছে। কিন্তু বিদেশে এটা গুম, খুনের দেশ হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অন্যরা।