পরিবেশ সুরক্ষায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর গুরুত্ব ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস মাঠ হতে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ- (তীর) এর উদ্যাগে সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি বাংলাদেশেরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর 3 ZERO তত্ত্বের Zero Carbon Emissions বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কার্বন নিঃসরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আয়োজন করা হয়।
“কার্বন নিঃসরণ কমাও বিশ্ব বাঁচাও” এই স্লোগান নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বর থেকে র্যালি বের হয়ে বগুড়া সাতমাথা বীরশ্রেষ্ট চত্ত্বর ঘুরে বনানী চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে র্যালিটি শেষ হয়।
তীরের স্বেচ্ছাসেবীরা সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের ভয়াবহতা, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণে বায়ু দূষণ, ওজোনস্তর হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনে এর প্রভাব উক্ত কার্যক্রমে দ্বারা তুলে ধরেন।
তীরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হোসেন রহমান জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে কার্বন নিঃসরণ প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখছে। মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটিয়ে ওজনসস্তর ক্ষয় করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশে সীমিত রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী ওজন স্তর হ্রাস। ওজন স্তর হ্রাসের মূল কারণ গ্রীন হাউস গ্যাসের ক্রামগত বৃদ্ধি। গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) – মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন এবং ক্লোরোফ্লোরোকার্বন সহ অন্যান্য গ্যাস – বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে, যার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটে। তাতে ঘন ঘন ব্যাপক ঝড়, বৃষ্টি, জ্বলোচ্ছাস, খরা ইত্যাদি বেড়ে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন ব্যাধিও বাড়ছে!
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শওকত আলম মীর, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওয়াহেদ সরকার, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল লতিফ, তীরের উপদেষ্টা জনাব শাহজাহান আলী, তনুশ্রী পাল,অরুপ রতন পাল,মতিউর রহমান,জুয়েলুর রহমান, উজ্জ্বল প্রমানিক ও তীরের সদস্যরা।
উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) জীববৈচিত্র্য পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে (২০২১)সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ভূষিত হয়েছে।