পরীক্ষার খাতা অন্যকে দিয়ে দেখালে পরীক্ষকের জেল-জরিমানা

: অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার খাতা বা উত্তরপত্র অন্য কাউকে দিয়ে দেখালে বা মূল্যায়ন করালে জেল-জরিমানা হতে পারে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের।

এ ধরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে জানিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের সতর্ক করেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার সোমবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৯৮০ সালে প্রণীত পরীক্ষা পরিচালনা আইনে পাবলিক পরীক্ষার খাতা অন্যকে দিয়ে মূল্যায়ন করানো বা বৃত্ত পূরণ করানো শাস্তিমূলক অপরাধ। ওই আইন অনুযায়ী এ অপরাধের শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

বিষয়টি জানিয়ে বোর্ড থেকে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষার খাতা গোপনীয়তা রক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের পাঠানো চিঠিতে বোর্ড বলেছে, পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের কাছে পবিত্র আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারে অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট করা বা মূল্যায়ন করা পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই পরীক্ষার খাতা বা উত্তরপত্র গোপনীয়তার সঙ্গে মূল্যায়ন এবং সংরক্ষণ করতে পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে।