তীরের সভাপতি হোসেন রহমান জানান, গন্ধগোকুলটি জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানের লোকালয়ে এসে সোনাতলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার কিশোর রনিদের বাড়ি গেলে সে এটিকে আটকে রাখে। পরে তীরের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার সেটি উদ্ধার করে।তিনি জানান, বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে তেমন চোখে পড়ে না।
তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনে কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।স্থানীয় ব্যক্তিরা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের বিষয়াদি অনুধাবন করে ‘তীর’ নেতৃবৃন্দের নিকট গন্ধগোকুলটি হস্তান্তর করে। পরে বন বিভাগ উপজেলা কার্যালয়ের কর্মচারী জুলফিকার আলীর উপস্থিতিতে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদকে ভূষিত হয়।