বগুড়া ধুনটে প্রধান শিক্ষক ও এ্যাডভোকেট’সহ ১১ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার

: রুহুল আমিন কিবরিয়া,ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

বগুড়ার ধুনটে আইনজীবী, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ ১১ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে জুয়াড়িদের আটক করে শনিবার সকালে থানা থেকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

আটকরা হলেন ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে খাদুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল উদ্দিন (৫৫) গোপালপুর খাদুলী গ্রামের সামাদ মুন্সীর ছেলে রানডিলা আতাউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম(৫৫) দেউড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মোমিন (৩৭) ধেরুয়াহাটি গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী আল আমিন (৫২) ধেরুয়াহাটি গ্রামের মোনছের আলী ছেলে ব্যবসায়ী রতন সরকার (৪৭) খাদুলি গ্রামের আমজাদ হোসনের ছেলে রাকিব (৪৮) কাশিয়াহাটা গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪০) পীরহাটি গ্রামের আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে তোতা মিয়া (৫৪) অলোয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৩) খাদুলি গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং বগুড়া সদর উপজেলার নারুলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বাবুল আক্তার (৫০)।

থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সদস্যরা ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ইমন শেখের বাড়িতে চৌচালা একটি ঘরের মধ্যে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে তাস ও টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে। তখন তাৎক্ষণিক ভাবে তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা সকলেই কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি ও নগদ টাকা সহ হাতে নাতে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি চাদর, ৩ বান্ডিল তাস, ও ৪৪ হাজার ৫শত ২০ টাকা জব্দ করে। পরে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় আটককৃত ব্যাক্তিরা এলাকার পেশাদার জুয়ারি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে ১৯৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৩,৪ ধারায় মামলা দায়েরের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।