শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জ রহবল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগির বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর ছাত্রী ও মা গুরুত্বর আহত এলাকায় বিচার না পেয়ে অবশেষে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর মিল্কীপুর গ্রামের কৃষক রুবেল সরদার এর কন্যা ও রহবল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মোছাঃ আকাশী খাতুন (১৪) প্রতিদিন স্কুল যাওয়ার পথে একই গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ আইনুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইউসুফ আলী (২০) রাস্তাঘাটে স্কুল ছাত্রী আকাশীকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব, প্রেমের কথা, ভয়ভীতি ও অপহরণ করার বিষয়টি আকাশী তার বাবা-মাকে বললে ইউসুফ মনে মনে আকাশীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকার এক পর্যায়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান ৯টার দিকে ইউসুফ আকাশীর পথ রোধ করে ৪/৫ জন বন্ধুবান্ধব নিয়ে আকাশীকে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেয়। মেয়ের মারপিটের সংবাদ পেয়ে মা মেয়েকে রক্ষা করতে গেলে পাল্টা দুষ্কৃতকারীরা তাকেও মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল হতে রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুল ছাত্রী আকাশী ও তার মাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়িতে গেলে ইউসুফ গংরা পুনরায় তাদের বাড়ীতে হামলা চালায় এবং যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। একই সাথে তাদের ঘরের জানালায় শত্রুতা করে কাটা দিয়ে ঘিরে দেয়। আকাশীর পিতা রুবেল মেয়ের নির্যাতনের ও বাড়ী ভাংচুর রাস্তা বন্ধ ও থাকার ঘরে জানালায় কাটা দেওয়ার বিষয়টির বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় পৃথক পৃথক ভাবে অভিযোগ দিলেও অভিযোগের কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে ভুক্ত ভোগি রুবেল সরদার বগুড়া জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে বাধ্য হয়।
এদিকে মামলা করার কথা শুনে ইউসুফ গং মামলা তুলে নেওয়াসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকী দিচ্ছে বলে আকাশীর পরিবার থেকে বলা হয়েছে। এব্যাপারে রুবেল সরদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই এলাকায় ও শিবগঞ্জ প্রশাসনের নিকট এ বিষয়ে কোন বিচার না পাওয়াই অবশেষে আমি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছি। এখানে আমি ন্যায্য বিচার পাব বলে আমি আশাবাদী। আমি গরিব মানুষ। কিছুই বুঝিনা আইনের। ইতিমধ্যে বিচার করে দেওয়ার নাম করে আমার থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়েছে। যারা টাকা নিয়েছে তারাই আবার আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকী দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।