নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফসলের মাঠ থেকে ‘হিমালীয়ান গৃধিনী’ বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই বড় আকৃতির শকুনটি উদ্ধার করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)। এর আগে সন্ধ্যার দিকে ওই উপজেলার অদূরে বড়ইহাট ইউনিয়নে মুরাদপুর গ্রামে ফসলের মাঠে গ্রামবাসী একটি বড় আকৃতির পাখী নামতে দেখে। তখন কিছু সচেতন যুবক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি অবগত করে। এরপর আইইউসিএন’ ও বন বিভাগ’ এর পরামর্শে পরিবেশবাদী সংগঠন তীর’র সভাপতি রিফাত হাসান, সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, সহ-সভাপতি মুকিম মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন রহমানসহ চার সদস্যদের উদ্ধারকারী দল রাতেই সেখানে পৌঁছে যায়। স্থানীয় সচেতন যুবকদের সাথে নিয়ে গ্রামবাসীদের শকুনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বোঝান তারা। পরে গ্রামবাসী ওই হিমালীয়ান গৃধিনী প্রজাতির শকুন তীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম. ইকবাল জানান, এটি হিমালীয়ান গৃধিনী শকুন জাতের পাখি। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি। এটি তীব্র দৃষ্টির অধিকারী মৃত ভণকারী পাখি। শকুনই একমাত্র প্রাণী যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকূলকে রা করে।
বাংলাদেশের শকুন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা আই.ইউ.সি.এন- বাংলাদেশ’ এর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৪ সালের শকুন নিয়ে শুমারির তথ্য মতে দেশে মোটে ২৬০টি শকুন রয়েছে। তবে বন বিভাগের সাথে আই.ইউ.সি.এন-বাংলাদেশ’ এর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকৃতির এই ঝাড়ুদার কে স্বরূপে সরব উপস্থিতিতে ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞান সম্মত কার্যক্রম চলমান।