স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় ১০ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি সোবহান আলী (৪৫) সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত সোহবান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পিপি পদ্ম কুমার দেব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে আইনজীবী জানান, রুমার সঙ্গে সোবহানের প্রায় ১৫ বছরের সংসার ছিল। দাম্পত্য জীবনের সাত বছরের মাথায় একটি সন্তান হয়। কিন্তু একদিন পর সেই বাচ্চা মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে সোবহান প্রায় তার স্ত্রী রুমাকে মারধর করতেন। পাশাপাশি রুমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার কথা বলতেন সোবহান।
এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর রাতের কোনো এক সময় রুমার কাছে সমিতিতে দেয়ার জন্য টাকা দাবি করেন সোবহান। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে সোবহান। পরে সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুমার গলা কেটে মরদেহ বাড়ির সামনে উঠানে ফেলে রাখেন স্বামী। পরের দিন রুমার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলা করেন।
এপিপি আরও জানান, খবর পেয়ে রুমার পরিবার এলে দেখে স্বামী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পরে থানায় গিয়ে হত্যা মামলা দেয় রুমার মা রোকেয়া বেগম। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সোবহান গ্রেপ্তার হলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
আইনজীবী পদ্ম কুমার দেব বলেন, এ ঘটনায় দীর্ঘ শুনানীর শেষে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন আসামী সোবহানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেন বিচারক।