স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার ধুনটে মায়দা আক্তার রজনী নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ মে) ভোরে ধুনট উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত মায়দা আক্তার রজনী ধুনট উপজেলার এলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। তবে আসামীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় পুলিশ তার সম্পর্কে কোন তথ্য জানাতে রাজি হয়নি।
শনিবার (৬ মে) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, ধুনটের এলাঙ্গী এলাকার গাজিউর রহমানের মেয়ে মায়দা আক্তার রজনী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে বড় আম গাছের নিচে আম কুড়াতে যায়। তখন অভিযুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোর এবং তার অপর এক সহযোগী ওই মায়েদাকে অপহরণ করে বিদ্যালয়ের দণি পাশের গলিতে নিয়ে যায়। পরে আরও একজন যুক্ত হয় এবং পরে তারা ৩জন মায়দাকে ভয়—ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষক কিশোর প্রতিবেশী হওয়ায় মায়েদা তাকে চিনে ফেলে। এতে বিপদ হতে পারে ভেবে গ্রেফতার ওই কিশোর এবং তার দুই সহযোগী মায়েদাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারা ইট দিয়ে মায়েদার মাথায় আঘাত করে। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলা টিপে ধরে। হত্যার পর তারা মায়েদাকে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের দেওয়াল সংলগ্ন একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। গ্রেফতার কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ঘটনার ১০ দিন আগে সে মায়েদাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ৪ মে সন্ধ্যার পর থেকে মায়েদা নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৫ মে বেলা ১১টার দিকে পরিবারের প থেকে থানায় জিডি করা হয়। তার পর পরই এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে মায়েদার লাশ পাওয়া যায়। এরপর তার পরিবারের প থেকে ওইদিন গভীর রাতে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর পরই আমরা জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করি। এরপর শনিবার ভোর ৬টার দিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে ওই ঘটনায় তার আরও দুই সহযোগীর নাম বলেছে। আমরা তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।