আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হলো না ব্রাজিলিয়ান মডেল জুলিয়ানা নেহেমকে। সম্প্রতি কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে লেবাননের বৈরুত থেকে দোহা যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে যান তিনি। আর সেখানে এ ঘটনা ঘটে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে লেবাননে গিয়েছিলেন জুলিয়ানা। যাওয়ার সময়ে এয়ার ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে কোনারকম সমস্যা হয়নি তার। কিন্তু দোহা হয়ে ব্রাজিলে ফেরার পথে বিমানে উঠতে গেলে তাকে উঠতে দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন জুলিয়ানা। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমার অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। বৈরুত থেকে দোহা যাওয়ার কাতার এয়ারওয়েজের ফাইট ছিল এটি। সেখানকার একজন কর্মী আমাকে বলেন, এই ফাইটে উঠতে হলে ফাস্ট কাসের টিকিট কাটতে হবে; না হলে উঠতে পারবেন না। আর ফাস্ট কাসের টিকিটের মূল্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার। ফাস্ট কাসের আসন আকারে বড়; যা আমার সঙ্গে ফিট হবে। তা ছাড়া আমি যে এক হাজার ডলার দিয়ে টিকিট কেটেছি, সে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। এত বড় কোম্পানির বৈষম্যমূলক এমন আচরণ খুবই লজ্জাজনক। আমি মোটা কিন্তু অন্য সবার মতো স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জুলিয়ানা। পরে কোনো বাড়তি অর্থ না দিয়ে অন্য একটি ফাইটে পরিবারসহ ব্রাজিলে ফিরেন এই মডেল। তবে ব্রাজিলে ফিরে আদালতে কাতার এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা করেন জুলিয়ানা। গেল ২০ ডিসেম্বর রায়ও দেওয়া হয়েছে। বিচারক রেনাটা মার্টিনস বলেন, মানসিকভাবে তিগ্রস্ত হয়েছেন জুলিয়ানা। এজন্য প্রতি সপ্তাহে ৭৮ ডলার ব্যয়ের থেরাপি প্রয়োজন। এই চিকিৎসাবাবদ কাতার এয়ারওয়েজ মোট ৩ হাজার ৭১৮ মার্কিন ডলার জুলিয়ানার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিলে ফিরে স্থানীয় মিডিয়াকে জুলিয়ানা বলেন, আমার মনে হয়েছে আমি তাদের কাছে মানুষ ছিলাম না। আমি একটি মোটা দানব ছিলাম, যে বোর্ডে উঠতে পারিনি। এটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল। এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা কখনো কল্পনাও করিনি। এ ঘটনায় দারুণভাবে আহত হয়েছেন জুলিয়ানা। জানান, এই ঘটনায় তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। এমন ঘটনায় মডেল তার মায়ের কাছে অনেকবার মা চেয়েছেন।