এ কে আজাদ
একটা ছেলে চোখের পাতায় স্বপ্ন কেবল আঁকতো
পাখির মত ডানা যদি সেই ছেলেটির থাকতো!
একটা ছেলে সারাটাণ গাঁও গেরামে ছুটতো
আহা, যদি ফুল হয়ে সে রোজ সকালে ফুটতো!
ভাবনা মনে- স্বপ্ন যে তার ক্যামনে হবে সত্যি,
চার পাশে তার ঘুরছে যে হায় পাক হানাদার দত্যি!
হঠাৎ একদিন রাতের বেলা দৈত্যরা সব এলো
বাবার বুকের টকটকে লাল রক্ত চুষে খেলো
সেই ছেলেটা উঠলো জ্বলে অগ্নিগিরির মত
রাইফেল হাতে করলো খতম পাক সেনাদের শত।
তারপরে তার খোঁজ মেলেনি দীর্ঘ ন’টি মাস ধরে
মা কেঁদে কন- দোহাই তোদের, বল না তোরা খাস করে-
কোথায় গেলো সোনা মানিক কোথায় আমার টিয়ে?
বুকের ভেতর কলজে ছাড়া বাঁচব রে কি নিয়ে?
ল মায়ের বুকের ব্যথা ছেলের বুকে জ্বলে,
এমন সময় ঘরের কোণে থাকলে কি আর চলে
তাই তো সোনা ফিরেনি আর মায়ের শীতল কোলে
দেশর তরে প্রাণ পাখি তার ঐ আকাশে দোলে।
অবশেষে খবর এলো নদীর পাড়ে ডাঙা
সোনার রক্তে সবুজ ঘাসে হয়েছে লাল রাঙা।
সেই ঘাসেতে ছেয়ে গেল সাড়া বাংলার মাটি
ল সোনার রক্ত দানে এ দেশ হলো খাঁটি।
দৈত্যরা সব লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেল শেষে
ডিসেম্বরে বিজয় এলো রক্ত রবির বেশে।
রক্তগুলো বৃত্তাকারে রইল ঘাসের বুকে
সেই রক্তই পাতাকাতে দুলছে আজও সুখে।