সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনির হত্যা মামলার ১৩ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি আদালতে।
এদিকে সাংবাদিক দম্পতির হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে ডিইউজে, বিএফইউজে, ডিআরইউসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অপেক্ষার প্রহরের ইতি টানতে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ডিআরইউ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন করে আশার আলো দেখা গেছে এই মামলার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গেল নভেম্বর থেকে পিবিআইপ্রধানের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্কফোর্স।তবে গত ২৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা থাকলেও তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে জাননা, ‘আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় আছে। এর মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। এ ব্যাপারে যেসব দক্ষ কর্মকর্তাদের জড়িত করা হয়েছে, তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের ভালো ট্র্যাক রেকর্ড আছে।বাকিটা নির্ভর করছে ডিএনএ পরীক্ষাসহ কিছু প্রযুক্তিগত তথ্যপ্রমাণের ওপর। সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। পিবিআই কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গেও কথা বলছেন। আমরা আশা করছি, তারা ফলপ্রসূ কিছু বের করতে পারবেন। এখানে শুধু একটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয় আছে, সেটা হলো যেহেতু অনেক দিন পার হয়ে গেছে, সেজন্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ডিসঅ্যাপিয়ার হয়ে গেছে’।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনি। এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সমসয় এ নিয়ে ১১৫ বার পরিবর্তন হয়েছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের ধরা হবে বলে সময় বেঁধে দিলেও তার কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি।