খুনিদের নিষিদ্ধ ও বিচার করে আমাদের মায়েদের কলিজা ঠান্ডা করুন : বগুড়ায় চরমোনাই পীর

: অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সরকার গুম,খুন,হত্যা ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যা কখনো বাংলাদেশের মানুষ দেখেনি।ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যে আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি এটি জনবাদী।খুনিদের নিষিদ্ধ ও বিচার করে আমাদের মায়েদের কলিজা ঠান্ডা করুন।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে দলটির বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশনের নীতিমালা ইসলাম বিরোধী। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী সকল প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণ হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বায়েজয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০১৩ সালের মে ঢাকার শাপলা চত্বরে গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।’

সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ ন ম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে প্রভাষক শফিকুর ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতা মাওলানা আব্দুল মতিন, সহকারী অধ্যাপক মুফতি ইমদাদুল হক, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ, মুহাম্মাদ শাহিন আলম, মুহাম্মাদ সোহরাব হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, মাওলানা আলতাব আলী, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, আব্দুর রউফ রাজু, মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন মন্টু, সোহেল রানা।

এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা গণ সমাবেশে যোগ দেন।

সমাবেশে চরমোনাই পীর আরো বলেন, ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসঙ্ঘ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ কাগজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান এবং মসজিদের ওপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।