বগুড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীর করতোয়া নদীর স্লোপ প্রটেকশন ও সৌন্দর্যবর্ধণের কাজ পরিদর্শন

: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ দিন আগে

বগুড়ায় করতোয়া নদীর শহর অংশের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন ডান তীরে ৭৩০ মিটার (জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসপি ব্রীজ পর্যন্ত) স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সোলার লাইট বসানো হয়েছে। ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। বসার ব্রেঞ্চ, ছাতাসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান রয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদী পুনঃখনন ও ডানতীরে স্লোপ প্রটেকশন কাজ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে (করতোয়া নদী সংলগ্ন) গত বছরের ১৯ মার্চ এই প্রকল্পের ৭৩০ মিটার স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে পুরো কাজের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময় চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা কারাগার সংলগ্ন স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক এবং জেল সুপার। পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স হুমায়রা ফাহমিদা’ এর প্রোপাইটর হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র জানায়, এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে- বগুড়া শহরের এসপি ব্রীজ থেকে উত্তর দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ৭৩০ মিটার স্লোপ প্রটেকশনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা কারাগার, জেলা প্রশাসকের বাংলো, বগুড়া মহিলা কলেজকে রক্ষা করা, ২৮ কিলোমিটার করতোয়া নদী পুনঃখননের মাধ্যমে বগুড়া শহর অংশে করতোয়া নদী পুনরুজ্জীবিত করা, অগ্নি নির্বাপন পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, দখল-দুষণ থেকে করতোয়া নদীকে রক্ষা করা, ২৮ কিলোমিটার সুবিল খাল ও অটো খাল পুনঃখননের মাধ্যমে বন্যার পানি নিষ্কাশন সহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে বগুড়াবাসী।

নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। সন্ধ্যার পর থেকে নদীর তীরে সোলার লাইট জালানো হয়। এর ফলে দর্শনার্থীরা নদীর তীরে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন।