বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (১৯) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুর ৩টার দিকে সদর উপজেলার শাহাপাড়ার ভবানীপুর গ্রামের এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১৩ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরাজ ইসলাম প্রাইম এশিয়া ইউনির্ভাসিটির বিবিএতে পড়েন। ঢাকার বনানী এলাকার নুরুল ইসলাম সর্দারের ছেলে তিনি।
র্যাব জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে ভবানীপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আত্নগোপনে থাকা মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করে।
বিপ্লব কুমার গোস্বামী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার মেহেরাজ ইসলামকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন র্যাব সদস্যরা। এ বিষয়ে র্যাব-১ উত্তরা থেকে ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পুলিশের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে দুই ছাত্রীর সিঙ্গারা খাওয়া ও তাদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পারভেজের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামে। তাঁর বাবা জসিম উদ্দিন কুয়েতপ্রবাসী। দুই ভাইবোনের মধ্যে পারভেজ বড়। তিনি ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করতেন।
রাতেই নিহতের মামাতো ভাই বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার। তিনি জানান, মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাদী দাবি করেছেন, পারভেজ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কর্মী।
এদিকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ‘ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায়’ পারভেজ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাত ১০টা ৫ মিনিটে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, পারভেজ হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি, বিবিএ এবং এলএলবির তিন শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার বিষয়ে জানিয়েছেন। ক্যাম্পাসের সামনে বসার জায়গা নিয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।