রাজশাহীতে এখন সর্বোচ্চ কত তলা দালান আছে?

:
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে জজ আদালত ভবন। ১৮৬৪-৬৫ সালে ফরাসি প্রকৌশলী ই এস বি পেরেইরার তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করেছিলেন রাজশাহীর বিখ্যাত নির্মাণশিল্পী কানু মিস্ত্রী ও বিনোদবিহারী মিস্ত্রী।

প্রায় দেড় শ বছরের ব্যবধানে এই শহরের নির্মাণশিল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তত দিনে বদলে গেছে শহরের নাম। বোয়ালিয়া থেকে রামপুর-বোয়ালিয়া আর রামপুর-বোয়ালিয়া থেকে রাজশাহী। নগরায়ণে যুক্ত হয়েছে আবাসন ব্যবসা। কানু মিস্ত্রী ও বিনোদবিহারীদের জায়গা নিয়েছে রাজশাহী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশন (রেডা)।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৮০০ সালে গোটা বিশ্বে ৫ হাজার বা তার বেশি জনসংখ্যার শহর বা নগর ছিল ৭৫০টির মতো। সে সময় রামপুর-বোয়ালিয়া নিশ্চিতভাবে এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু শহরের কোনো প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা না থাকায় এটিকে ঠিক ষোলো আনা শহর বলাটা যৌক্তিক হবে না। নবাব মুর্শিদকুলি খান প্রতিষ্ঠিত ২৫ জমিদারির একটি ছিল রাজশাহী। তখন এর প্রশাসনিক দপ্তর ছিল নাটোর। ১৮২৫ সালে রামপুরে (বর্তমান রাজশাহী শহরের শ্রীরামপুর) স্থানান্তর করা হয় এর সদর দপ্তর। তখন আগের বোয়ালিয়ার সঙ্গে শ্রীরামপুরের নাম যুক্ত করে শহরের নাম লেখা শুরু হলো (‘শ্রী’ বাদ দিয়ে) রামপুর-বোয়ালিয়া। ১৮৫৫ সালে সব প্রশাসনিক ভবন পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে নগরের বুলনপুরে, বর্তমানে যেখানে জজ আদালত ভবন, স্থানান্তরিত করা হয় প্রশাসনিক সদর দপ্তর। একে কেন্দ্র করে বিকশিত হতে থাকে নগর। বৃহত্তর রাজশাহীর রাজা, জমিদার, উকিল, মুক্তার, ব্যবসায়ীরা এসে বাড়িঘর নির্মাণ শুরু করেন। ১৯২৯ সালে হয় রেলস্টেশন। সাইনবোর্ডে লেখা হলো ‘রাজশাহী রেলস্টেশন’। সেই থেকে রামপুর-বোয়ালিয়ার পরিবর্তে শহরের নাম হলো রাজশাহী।