পাঠকের পাতা

গোলাম সারোয়ার সম্রাট বৈশাখী হাওয়ায় ভাসতে চাই অথৈ… মাছের মত তোমার নীলাভ-সবুজ চোখে যেমন নিবদ্ধ দৃষ্টি; অসীম ঝড়ে রাত্রী জুড়ে তুমি আস না, বার বার ব্যর্থ হও কেন ? কেন আমি ভাসতে পারি না, মাছ হয়ে মৎস্য কন্যার প্রতি কী এক অনন্ত মায়ায় চেয়ে থাকি নির্মোহ… তাই অন্তহীন রাত্রি জাগে …

মিহির কুমার মহন্ত হে নববর্ষ, তোমারে প্রাণঢালা শুভেচ্ছাতে করি সংবর্ধিত, তব কল্যাণ পদচারণায় এ বসুন্ধরা হোক আনন্দ মুখোরীত। তব প্রদীপ্ত মঙ্গল আলোক রেণুতে যত সন্দিব্ধ চিত্ত হউক বিকশিত॥ প্রতিটি হৃদয় কর আলোক উদ্ভাষিত ত্যাগ তিতিক্ষার মন্ত্রে করো দীক্ষিত। পারস্পারিক সহমর্মিতা ঐদার্য সৌহার্দ সম্প্রীতিতে কর যুক্ত। তব কাল বৈশাখীর উত্তাল ঝঞ্ঝায় …

হোসনে আরা মণি শেষকালে স্বাধীন সেই বহুকাক্সিক্ষত শব্দটি উচ্চারণ করল। এটা যে সে কোন দিন সত্যিই বলবে তা রিয়ানা যেমন বিশ্বাস করেনি তেমনি স্বাধীনও বুঝি কোন কালে ভাবেনি। স্বাধীনের ভাবভঙ্গিতে রিয়ানার মনে হত যে এ অসম্ভব, স্বাধীন কখনোই ঐ শব্দটা উচ্চারণ করবে না, এ তার স্বভাবেই নেই। অথচ যদি করত! …

এ কে আজাদ নতুন বছর! নতুন বছর! আসবে তুমি? আসো, বিমর্ষ এই ধরার বুকে নতুন করে হাসো। বিষিয়ে ওঠা পাতার ফাঁকে নতুন করে গজাও ফুল, মৃত্যুপুরী জেগে উঠুক প্রাণের মেলায় হুলুস্থুল। বুকের ভেতর জমা ত, জীর্ণ-জরা শত, নতুন ছোঁয়ায় দাও মুছে দাও কান্না-বিষাদ যত। জীবন জুড়ে স্বপ্ন উড়াও, রঙিন ঘুড়ি …

এ কে আজাদ একটা ছেলে চোখের পাতায় স্বপ্ন কেবল আঁকতো পাখির মত ডানা যদি সেই ছেলেটির থাকতো! একটা ছেলে সারাটাণ গাঁও গেরামে ছুটতো আহা, যদি ফুল হয়ে সে রোজ সকালে ফুটতো! ভাবনা মনে- স্বপ্ন যে তার ক্যামনে হবে সত্যি, চার পাশে তার ঘুরছে যে হায় পাক হানাদার দত্যি! হঠাৎ একদিন …

(১) কান্না-হাসির বেলা এ কে আজাদ কৃষ্ণচূড়া রক্তে রাঙা পলাশ ফুলে আগুন, রক্তজবার হাওয়ায় উড়ে ফেব্রুয়ারির ফাগুন। রফিক সালাম বরকতেরা রক্ত দিলো ঢেলে, দুখিনী এই বাংলা মা যে বর্ণমালা পেলে। খানের দানো হানলো আঘাত ছুড়লো মরণ গুলি, জীবন দিলো দামাল ছেলে উড়লো মাথার খুলি। গুলির শব্দে কাঁপে আকাশ, ভিজলো বাতাস …

খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি। আমার শোবার ঘরের অদূরে একটি বকুল গাছে ফুল ফুটেছে। বকুল ফুলের গন্ধে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত সৌরভ স্নাত থাকে যেন সমীরণমায়া। হঠাৎ সেদিন দেখতে পেলাম কে যেন আমার ছোট নামটি বকুল ফুলে লিখে গেছে গাছের তলায়। চারিপাশে ফুল ঝরে যেন পুষ্প গালিচায় রূপ নিয়েছে। তারই …

মাসতুরা রফিক অদ্বিতীয়া অষ্টম শ্রেণি বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১। কালা মামার বন্ধু তাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো- বন্ধু : কিরে, তুই এখন কী কাজ করছিস ? কালা মামা : আমি তো দৈনিক সংবাদপত্রে কাজ করি। বন্ধু : ওমা তুই সাংবাদিক? কালা মামা : আরে নাহ, আমি তো বাড়ি বাড়ি …

নূর-ই জান্নাত তাসফিয়া নবম শ্রেণি বগুড়া ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ১। অভিজ্ঞতার দ্বারা লব্ধ জ্ঞান অত্যন্ত মূল্যবান। [রজার এ্যাসথাম] ২। অসুখী লোকদের জীবনে আশাও নেই আবার হতাশাও নেই। [জুভেনাল] ৩। সব মানুষের মধ্যে যে নিজেকে সবচেয়ে অসুখী মনে করে সেই সবচেয়ে অসুখী। [হিউম] ৪। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ …

হোসনে আরা মণি পুংঃ এই শুনছো? ওরা বুঝি শুতে এলো। স্ত্রীঃ হুম, শুতে দাও এবং ঘুমাতে দাও। হাভাতের মত ঘুম না জমতেই ঝাঁপিয়ে পোড়ো না। পুংঃ হাভাতে বলছো কেন গো! আমরা কি আর ভাত খাই! স্ত্রীঃ ঐ হোলো হারক্ত, হালহু, হাখুন…… পুংঃ তুমি কত বিদ্যান গো, থুড়ি, বিদুষী…… স্ত্রীঃ ওদের …